Showing posts with label Bangla Erotic Novel. Show all posts
Showing posts with label Bangla Erotic Novel. Show all posts

Sunday, 3 March 2013

ময়ুরী কাকিমার উপসী শরীর আর পাবলোর ডায়েরী


পাবলো জিম থেকে বাড়ী ফিরে এসে টিভি দেখছিল। টিভির পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে দেখল, কাকিমা ওর শরীর ঘন হয়ে এসে দাঁড়িয়েছে। ৩৯ -এর ভরাট নদী উথাল-পাতাল শরীরটা থেকে যেন আশ্চর্য মোহগন্ধ ধরা দিচ্ছে। ভরাট উদ্ধত স্তন ছোঁয়া লাগছে পাবলোর শরীরে বুকে। কাকিমা বললো, দেখো তো পাবলো, আমার গলায় কিসব যেন হয়েছে, খুব জ্বালাচ্ছে। পাবলো তাকালো, কাকিমার ফর্সা গালে লাল গুঁড়ে গুঁড়ে চুনী দানার মত বিন্দু কতগুলো। বোধহয় কোন অ্যালার্জী বা স্কিন ইরাপশান। ঘোর লাগা আচ্ছন্ন চোখে ও তাকিয়ে রইলো। গলার দাগগুলো এক ঝলক দেখেই ও চোখ সরিয়ে নিল। গুরুত্বই দিল না। বুঝতে পারল, এত রাত্রে বাড়ীর অন্যেরা যে যার ঘরে দরজা বন্ধ করে যখন ঘুমিয়ে পড়েছে, কাকীমা গলার দাগ দেখাতে এই তিনতলার নির্জনতায়, পাবলোর ঘরে মোটেও ওর কাছে আসেনি।
কেন এসেছে তাহলে? দাগগুলো কি সত্যিই খুব জ্বালাচ্ছে? একুশ বছরের যুবকের কাকীমাকে বুঝতে একটুও অসুবিধে হয় না। পাবলোর চোখ এবার গলা থেকে পিছলে নেমে এল, কাকিমার ধবধবে ফর্সা স্তনের উপত্যকায়। লাল কাফতানের লোকাট গলা দিয়ে কাকিমার স্তনরেখা। যেন স্বঘন রোমান্টিকতা উড়ো চিঠির আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। পাবলোর সারা শরীর জুড়ে এক উথাল পাতাল অনুভব,টানটান বাঘলাফ হচ্ছে। যদিও এঘরে এখন কেউ আসবে না। বাবা-মা-বোন, যে যার ঘরে হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। তবু বাড়তি সতর্কতা হিসেবে পাবলো ঘরের দরজাটা এবার বন্ধ করে দিল। ফিরে এসে কাকীমার শরীর ঘেঁসে দাড়ালো।
‘দরজা বন্ধ করলে কেন?’ কাকীমার চোখে এখন এক অন্যরকম ছায়া। পাবলো ঘন চোখে কাকিমার দিকে তাকালো। ‘ভাল করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে না, তোমার গলায় ওগুলো কি হয়েছে।’
‘ও পরীক্ষা করবে?’ রহস্যময় হাসি দিল কাকীমা। পাবলো হাত বাড়ালো। বিন্দু বিন্দু চুনী দানাগুলোর ওপর আঙুল বোলালো। তারপর আঙুলগুলো নিচে নামাতে লাগল।
রক্তরাঙা কাফতানের ওপর স্তনের বিভাজিকায় আঙুলগুলো এসে থামলো। নড়ল চড়ল। কাকিমা প্রশ্রয়ের ভঙ্গীতে হাসল। ‘এই দেখো, আবার পাগলামো শুরু করলে?’
পাবলোর দুষ্টু হাত ততক্ষণে নেমে এসেছে, ময়ুরী কাকীমার স্তনে। কাফতানের ওপর দিয়েই ওর হাত স্তন দুটোয় চাপ দিতে লাগল। কাকিমা বাধা দিল না। বাধা যে দেবে না, সেটা পাবলো ভালমতনই জানতো। উল্টে কাকিমা পাবলোর হাতটাকে সপ্রশয়ে চেপে ধরল নিজের বুকের ভেতর। পাবলোর অন্যহাতটা নিজের অন্যহাতের মুঠোয় শক্ত করে চেপে ধরলো। কাকিমার চোখে-মুখে তখন কাফতানের রঙের প্রতিচ্ছায়া লাগতে শুরু করেছে। স্তন দুটোকে হালকা মুঠোয় চেপে ধরল পাবলো এবার। কাকিমা দু’চোখ বন্ধ করে ফেললেন, সারাটা মুখে প্রবল সুখের ছায়া, যা অনবরত ভাঙচুর হচ্ছে। যেন নতুন সুখের নির্মাণ গড়ে উঠছে।
পাবলো মুখটাকে নামিয়ে আনলো। কাকিমার দু’চোখ বন্ধ। পাবলো আদর চালাতে চালাতেই কাকিমার ঠোঁটে আঙুল ছোঁয়ালো, বোলাতে লাগল আলতো করে। একবার দু’বার তিনবার, এবার কাকীমা সাড়া দিল। ওর ঠোঁট সামান্য ফাঁক হয়। আর তখনি পাবলোর চোখ চলে যায় টেলিভিশনের পর্দায়। ন্যাশানাল জিওগ্রাফি চ্যানেলে তখন এক দুরন্ত দৃশ্যে বাঘ তাড়া করেছে সন্ত্রস্ত হরিণীকে। পাবলো এবার কাকিমার ঈষৎ ফাঁক, নরম ভিজে ঠোঁটে নিজের ঠোঁট গুজে দেয়, প্রাণপনে চুষতে শুরু করে। হয়তো আধমিনিট। তারপরই কাকিমা সাড়া দেয়। পাবলোর কোমরটাকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে গভীর করে। অন্য হাতে ওর মাথার পেছনটাকে চেপে ধরে মাথাসহ মুখটাকে কাছে টেনে নেয়। পাবলোর ঠোঁট দু’টোকে নিজের ঠোঁট জোড়া দিয়ে প্রায় কামড়ে ধরে। মেতে ওঠে এক প্রবল রকমের আশ্লেষময় চুমুতে।
টিভির পর্দায় তখন বাঘ ঝাঁপিয়েছে তার শিকারের ওপর। টুটি কামড়ে ধরেছে। আর চুম্বনরত পাবলোর শরীরে তখন বিদ্যুতের আলোয় ময়ুরী কাকিমার কাফতানের রং প্রতিফলিত হয়ে শরীরটা খুনখারাবি রক্তে যেন মাখামাখি হয়ে যাচ্ছে। টিভির পর্দায় বাঘ শিকারকে প্রায় কব্জায় এনে ফেলেছে। কিন্তু এখন এই ঘরে কে শিকার আর কেই বা শিকারী?
 



Thursday, 28 February 2013

নির্জন দ্বীপের কন্যা

নিষিদ্ধ পল্লী- লেখক






পার্কস্ট্রীটের এই বার টার নাম অদ্ভুত। স্টারলেট গার্ডেন। বাংলায় আমরা এর নাম দিয়েছি তারাতলা। খুব ছোট্ট একটা বার অথচ স্টারলেট গার্ডেন হল ছাপোষা মধ্যবিত্তদের স্বর্গরাজ্য। পার্কস্ট্রীটে অন্য যেসব পানশালা আছে সেখানে অনেক সুবিধা পাওয়া যায় ঠিকই কিন্তু সেগুলো অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। তারাতলায় যারা আসেন, তাঁরা ইচ্ছে করলে পার্কস্ট্রীটের নামকরা রেস্তরাঁ বা ফাইভস্টার হোটেলে বসে মদ্যপান করতে পারেন, কিন্তু তারাতলায় না এলে এদের ভাত হজম হবে না। মদ এখানে একশো ভাগ খাঁটি এবং সবচেয়ে সস্তা। গরমকালে মনোরম ঠান্ডা পরিবেশ, বিত্তবান লোকেরা যারা এখানে আসেন, তারা এখানকার পরিবেশটা বেশ পছন্দ করেন। কলকাতায় যেন এমন ছোট অথচ সুন্দর পানশালা আর দুটি নেই।
তারাতলার এই বারে,পাশাপাশি বসে আমি আর সোমনাথদা ড্রিংক করছি। সবে মাত্র সন্ধে হয়েছে একটু আগে। এই সময়টা পেটে লিকার না পড়লে সোমনাথদার আবার চলে না। আমি অবশ্য একটু দেরী করে খাই। রাত্রে শোবার আগে, দুপেগ হূইস্কি। নেশা হয় না, তবু খাই। ড্রিঙ্ক করার অভ্যাসটা বছর খানেক আগেও খুব বেশি ছিল। এখন কমিয়ে দিয়েছি। বেশি খেলে পরের দিন শরীরটা ভারভার থাকে। অফিসে যাবার তাড়া থাকে। কাজে বেরোতে তখন অসুবিধা হয়। তাই রাতে টিভি চালিয়ে ঐ টুকু মদেই আমি সন্তুষ্ট।
প্রাইভেট কোম্পানীতে মার্কেটিং এর চাকরী করি। সারা দিন অনেক লোকের সাথেই মেলামেশা। নতুন নতুন লোকের সাথে আলাপও হয়। সোমনাথদার সাথে আলাপ আমার বছর খানেক আগে। সর্ব ঘটে কাঁঠালি কলা বলে পরিচিত সোমনাথদা ইন্সুরেন্স কোম্পানীর একজন নামকরা অফিসার। আমাদের অফিসেও ওনার নিয়মিত যাতায়াত। সেখান থেকেই আমার সাথে পরিচয়। প্রতি শনিবার নিয়ম করে অফিস ছুটীর পরে সোমনাথদার সাথে পার্কস্ট্রীট বারে আসি। এখানেই বসে মদ খাই। গল্প গুজব, হাসি ঠাট্টা মস্করা, করি। উইক এন্ডটা দারুন এনজয় হয়, সময়টা আমাদের ভালই কেটে যায়।
সোমনাথটা রেগুলার ড্রিঙ্ক করে। আমার থেকেও বেশি। সপ্তাহে একটা দিন শুধু পার্কস্ট্রীটে আসি কেবল সোমনাথদার জন্যই। দুজনের মধ্যে সম্পর্কটা দারুন গড়ে উঠেছে। অন্তত একটা দিন মিট করার জন্য আমরা দুজনেই মুখিয়ে থাকি। কোন কারনে দেখা না হলে দুজনেরই তখন মন খারাপ হয়ে যায়। সত্যি কথা বলতে কি সোমনাথদার সঙ্গ আমার ভীষন ভাল লাগে।
বছর ষাটের কাছাকাছি বয়স সোমনাথদার। রিটায়ার করবে হয়তো আর দু এক বছর পরে। মাথার চুলগুলো সব কলপ করা। লম্বা জুলফি, মোটা গোঁফ, স্বাস্থ্যও ভাল। দেখে মনে হবে বার্ধক্য যেন ছুঁতে পারেনি লোকটাকে। সোমনাথ দা এই বয়সেও খুব স্মার্ট। অফিসে এক ডাকে সোমনাথদাকে সবাই চেনে। অনেক লোক ওনার কাছ থেকে ইন্সুরেন্স করিয়েছে। উনি খুব পপুলার। আমারও তাই ভাল লাগে লোকটাকে।
কৌতুক প্রিয়, রসিক মানুষ এমনিতেই খুব জনপ্রিয় হয়। আলোচনা একবার শুরু হলে ভীষন জমিয়ে দিতে পারে লোকটা। সবাই হাঁ করে ওর কথা শোনে। হেন কোন ব্যাপার নেই, যা সোমনাথদার অজানা। জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ সবই যেন নখ দর্পনে। প্রতিটা বিষয়ের ওপর সোমনাথদার এত আগ্রহ, এবং তা যেন খুব ভাল করেই সোমনাথদার জানা আছে। আমিও অফিসে যখন দেখা পাই ওর কথা শুনি। মজা লাগে, ভাল লাগে। এই অফিসে আমাকেই একমাত্র সোমনাথদা কাছের বন্ধু হিসেবে মেনে নিয়েছে।
পার্কস্ট্রীটে তারাতলায় সপ্তাহে একদিন মদ খেতে আসার অভ্যাসটা সোমনাথদার জন্যই হয়েছে। এত দরাজ লোক, আমাকে কিছুতেই বিল পেমেন্ট করতে দেয় না। চারপেগ, পাঁচপেগ যাই খেলাম, সবই চোকাবে ঐ সোমনাথদা।
কিছু বললে সোমনাথদা বলে, টাকাটা তুমি জমিয়ে রাখ সুদীপ। ভবিষ্যতে তোমারই কাজে লাগবে। আমার তো এ দুনিয়ায় কেউই নেই। সোমনাথ সেন সপ্তাহে একদিন সুদীপ বসুকে মাল খাওয়ালে ভিখারী হবে না। এটাতো আমারই ডিউটি। তুমি আমাকে কোম্পানী দিচ্ছ। তাই না আমি দিচ্ছি। আই মাস্ট পে ফর দ্যাট।
আজ ঠিক করেছি হূইস্কির বিলটা আমিই পেমেন্ট করব। সোমনাথদাকে কিছুতেই পেমেন্ট করতে দেব না। আগে ভাগেই বলে ফেললাম, তুমি কিন্তু পার্স বার করবে না সোমনাথদা। আজ সব খরচ আমার।
গতকালই প্রমোশন লেটারটা পেয়েছি সোমনাথদা জানে। অফিসের সবাইকে রোল খাইয়েছি। কিন্তু সোমনাথদা আমার স্পেশাল লোক। তাই তার জন্য তারাতলায় আমার মানিব্যাগ ভর্তি নোট। সারারাত বসে মদ খেলেও মানিব্যাগ আমার খালি হবে না।
মদ খেতে খেতে সোমনাথদা আবার তুলল সেই পুরোনো কথাটা। আমাকে যেন আরেকবার স্মরণ করালো। হূইস্কির গ্লাস হাতে ধরে হাসতে হাসতে সোমনাথদাকে বললাম, তুমি পাগল হয়েছ? ওখানে কেউ যায়?
সোমনাথদা বলল-তুমি এত বেরসিক কেন বলো তো সুদীপ? ওখানে গেলে কি হবে? তোমার ইজ্জ্বত খোয়া যাবে?
আমি তবু হাসছিলাম। হাসতে হাসতেই বললাম, তাহলেও, তাই বলে সোনাগাছি?
আসলে কদিন ধরেই সোমনাথদা আমাকে তাতাচ্ছে। বিয়ে থা তো করলে না সুদীপ। একদিন চলো তোমাকে একটা দারুন জায়গায় নিয়ে যাব। দেখলে চিত্তির চনমন করবে।
আমি সোমনাথদাকে বললাম, তুমিও তো বিয়ে করোনি, আর আমাকে নিয়ে যাবে সেই নিষিদ্ধ পল্লীতে? ওখানে ঢুকলেই আমার গা ছমছম করবে।
সোমনাথদা বলল, তুমি জানো না তাই বলছ। ওখানকার সব ব্যাপার আমার নখদর্পনে। গেলে বুঝবে কেমন খাসা জায়গা। তুমি যার সঙ্গে যাচ্ছ সে তো আর যা তা লোক নয়। আমি হলাম গিয়ে মালপাড়ার মেশো। খাতির যত্ন কাকে বলে দেখবে। কয়েকটা মেয়ে আছে, একরাত কাটালে জীবন ধন্য হয়ে যাবে। এ শহরের মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত সব ধরনের লোকই ওখানে যায়। পয়সা দিলে অনেক উচু ধরনের পসারিনীও জুটবে। দেহসুখের জন্য একটু নিষিদ্ধ সঙ্গী পেলে ক্ষতি কি? আমি তো আনন্দ করতে যাচ্ছি।



BAKITA PORTE CLICK KORUN 

Tuesday, 26 February 2013

সিরিজা একটি বিস্ফোরক উপন্যাস ২য় পর্ব



দুই

এমন কিছু মেয়েমানুষ আছে,যারা পুরুষ মানুষের শরীরে অনায়াসে ঝড় তুলে দিতে পারেযাকে বলে কামনার ঝড়তার রাত কাটালে মনে হয় শরীরের সব রক্ত উত্তাল হয়ে যাচ্ছেশরীরটা চুষে তখন নিংরে নিলে ভাল হয়মদের নেশার মতন সেই মেয়েমানুষের নেশা তখন তাকে পেয়ে বসেরজতের এমনই হয়েছেবারে বারে লোভ ওকে আরও একটা ঝড়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রেখেছেরজত জানে না ঠিক কোন মেয়েছেলে ওর রক্তে আগুনের ঝড় তুলতে চলেছেআগুনের মোহে ধাবিত হতে চলেছে রজতভেতরে ভেতরে ছটফট করে মরছে ওরাত্রে শুয়ে শুয়েও ভাবছে, ইস যদি এমন পাওয়া যেতযৌনতার জন্য এরকম একটা মেয়ে ওর সবসময়ের জন্য দরকারকামনার আগুন ভেতরে দাউ দাউ করে জ্বলছেচোখের দেখা না পেলে অবস্থা দূরঅবস্থাতে পরিণত হবেজীবন্ত নারীর স্বাদ্ যদি ও একবার পেয়ে যায়, তখন কি হবে? তাহলে কি কামসূত্রকেও হার মানাবে?
একটু বেলা করে ঘুম ভাঙল রজতেরবিছানায় ধরমর করে উঠে বসল ওএই যাঃকালকে মনে করে ঘড়িতে অ্যালার্ম দেওয়া হয় নিউঠতে অনেক দেরী হয়ে গেলএখন তাড়াতাড়ি মুখ হাত ধুয়ে সুটকেশটা নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হবেদিবাকরের সঙ্গে গ্যাঁজাতেই অনেক রাত হয়ে গেছেঅত রাত্রিরে শুলে কি আর সকাল সকাল ওঠা যায়? ব্রাশটা মুখে নিয়ে জানলার দিকে এগিয়ে এল রজতজানলাটা খুলতেই ঝোড়ো একটা হাওয়া ওর মুখে ধেয়ে এলসেই সাথে বৃষ্টির ছাট্এ কি? বৃষ্টি যে নতুন করে শুরু হয়েছে আবারআকাশে কালো মেঘ কুচকুচ করছেমূহুর্তে রজতের মুখটা কেমন ফ্যাকাসে হয়ে গেলবাতাসের ঝোড়ো ঝাপটাবৃষ্টিটা এবার বাড়তে শুরু করেছেহঠাৎ একটা বিদ্যুতের চাবুকে আকাশ ফেটে চৌঁচির হয়ে গেলরজতের মনটা সত্যি খারাপ হয়ে গেলএকেই বলে প্রকৃতির খেলাও কি করবে ভেবে ব্রাশটা মুখে নিয়েই সোফার উপর ধপ করে বসে পড়লএর মধ্যেই হঠাত বেশ জোড়ে কলিংবেলের শব্দএই বৃষ্টির মধ্যেই আবার কে এল? রজত ব্রাশ মুখে নিয়ে এগিয়ে গেল দরজার দিকে
দরজাটা খুলেই মূহুর্তে ও পাথরের স্ট্যাচু হয়ে গেল এবারএকি দেখছে সামনে? একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে দরজার সামনেঝড়ের ধাক্কায় এলোমেলো হয়ে থমকে গেছে রজতমেয়েটার চোখের দৃষ্টিতে চোখ আটকে গেছে ওরমেয়েটার শরীরের জাদু ঠিকরে যাচ্ছে ওর পাথর শরীরেচোখের তারায় কেমন যেন একটা আকুতিওকে হাতছানি দিয়ে নিশিডাকের মতন টানছে
রজতের মুখ দিয়ে ফিস ফিস করে যেন কথা বেরিয়ে এল, আমি অভিভূতএ কাকে দেখছি আমি? মেয়েটার সারা শরীর বৃষ্টিতে ভিজে চপচপ করছেমাথায় ঐ অবস্থায় একটা ছোট্ট প্লাস্টিকবৃষ্টির জলটাকে আড়াল করার চেষ্টা করছেবুকের আবরণ জলে ভিজে গেছেঠোট দিয়ে বৃষ্টির জল গড়িয়ে পড়ছেরজত তাকিয়ে রইল ওর বিধ্বস্ত ভেজা বুকের দিকে
ওর মুখের ব্রাশটা মুখের মধ্যেই যেন আটকে গেছে


-আমাকে ভেতরে একটু ঢুকতে দেবে?
 সাত সকালে দরজায় গোড়ায় কোন এক অচেনা রমনীরজত যেন হাতে চাঁদ পেল
 -তুমি কে? তোমার নাম কি? এখানে কে পাঠিয়েছে?
 -আমার নাম সিরিজাবৃষ্টিতে দাঁড়াতে পারছি নাআমাকে একটু ঢুকতে দাও বলছি
 মাথাটা হঠাতই ঘুরে গেছে রজতেরএকটা দুর্লভ সুযোগ ওর সামনেমেয়েটাকে ও ভেতরে ঢুকতে দিল
 আরিব্বাসকি লাভলি ফিগারএ যেন স্বপ্নে দেখা এক নারীআর আজ তার বাস্তব রুপহাত দিয়ে দুহাতে বৃষ্টির জল মুছতে মুছতে মেয়েটা বলল-দেখ কি রকম ভিজে গেছিবাব্বা যা বৃষ্টি
রজত চোখ বড় বড় করে মেয়েটার বুকজোড়া দেখছেবৃষ্টির জলে মেয়েটার ব্লাউজ আর ব্রেসিয়ার একেবারে গায়ের সাথে সেটে গেছেকোন মেয়েছেলের এত বড় বুক রজত জীবনে দেখেনিএকটা যেন অজানা খুশীর দোলা লাগছে প্রাণেকন্ঠস্বরে জাদু,চোখের চাহনি, কথাবলার ভঙ্গী, রজতকে কেমন যেন আবিষ্ট করে তুলেছে
কে মেয়েটা? হঠাৎ সাতসকালে এমন সৌভাগ্যের উদয়রজত তো এমনটা আশা করেনি
মেয়েটা বাইরের ঘরে সোফার উপর বসে পড়েছেঅচেনা একটা মেয়ে ওর মুখোমুখিযত ওকে দেখছে রজত, বিস্মিত হচ্ছেনিজেকে ঠিক রাখাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে
 -তুমি এখানে এলে কি করে?
 -ভেবেছিলাম,কাল রাত্রিরেই আসববৃষ্টিটা আমাকে আটকে দিলতারপর দেখলাম সকালেও বৃষ্টিতাই দেরী না করে চলে এলাম
 কেমন যেন উত্তেজনাময় পরিবেশ তৈরী করেছেরজত বলল-কাল রাতে মানে? তুমি থাকো কোথায়?
 -আমি থাকি অনেক দূরে
ভেতরে ভেতরে অস্বস্তি আর চাঁপা উত্তেজনা অনুভব করছে রজতএমন হেঁয়ালি করছে কেন? তাহলে কি সাসপেন্স?
মেয়েটা হঠাত উঠে দাঁড়িয়ে ঘরের ভেতরটা তাকালোরজতের বেডরুমটা দেখল
-তুমি কি এই বাড়ীতে একা থাক? বৌদি নেই?
কবাব মে হাড্ডিআবার বৌদি কেন? তুমি তো এসেছনতুন প্রাণের আশা নিয়েআবার বৌদি কেন বাবারজত নিজেকে সামলে নিয়ে বলল-ও বাপের বাড়ী গেছে
 -সেকী, যে আমাকে আসতে বলল, সে নিজেই বাড়ী নেই
 -বৌদি তোমাকে আসতে বলেছেকবে?
 -তা প্রায় একমাস হলো
 -একমাস আগে আসতে বলেছে?
 রজত বেশ অবাক হলো, ওর বউ এই মেয়েটাকে আসতে বলেছেঠিক বোঝা যাচ্ছে না
 তবু বললো-তা তুমি এখন এলে?
 -কি করব বলোআমার ভাগ্য খুব ভাল তাই তোমার এখানে আসতে পেরেছিআমার যা বিপত্তি, অনেকে আমায় জ্বালায়, বিব্রত করে
 -কেন?
 -আমাকে দেখতে সুন্দর বলে


রজতের মনে হোল ওর হঠাত বেশ ভাল লাগছেশরীরে একটা রোমান্স জাগছে, ভাবছে খেলাটা এখনই শুরু করে দেবে কিনা? মনে মনে বলল-তোমাকেই চেয়েছিলাম আমিচাওয়াটা বৃথা হয় নি মনে হচ্ছেরজতের মনে হলো মেয়েটা যেন ওর টানেই চলে এসেছে ওর কাছেউত্তেজনায় একটা সিগারেট ধরিয়ে ফেলল রজতলাইটারের আলোয় মুখটা উদ্ভাসিত দেখাচ্ছেমেয়েটাকে ভাল করে দেখছে, ওর শরীরে কোন খুঁত নেইচোখের দিকে তাকালোনজরটা আসতে আসতে বুকের উপর গিয়ে পড়লওফঃ যৌন আবেদনটা দেখার মতনমুখ নীচু করে লম্বা ভিজে চুলটা মুছছে আঁচল দিয়েবুকের খাঁজটা ওকে খুব টানছিলঘুরে ফিরে চোখ চলে যাচ্ছিল বুকের খাজেঁশরীরে টানটান উত্তেজনা অনুভব করছিল রজতসম্পর্কটা যেন আপনা আপনি তৈরী হয়ে যাচ্ছিলযার শরীরের এমন গঠনতাকে নিয়ে কি না করা যায়চিত্তিরটা বেশ চনমন করছেচোখের সামনে একটা আস্ত মেয়ে পেলে যেন বলে দিতে হবে না কি করতে হবেরজতের বেশ পছন্দ হয়েছে মেয়েটাকে
-বৌদি বোধহয় তোমাকে কিছু বলে নি?
 -কি ব্যাপারে?
 -এই আমার সন্মন্ধে
 -ভুলে গেছেহয়তো সময় পায়ে নি
 -তুমি শুনবে আমার কথা?
 -বলো
 -আমি এসেছি তোমার বাড়ীতে কাজ নিয়েতোমার বউ একজনকে কাজের বউ এর কথা বলেছিলতুমি চিনবে না ওকেওর নাম দোলনতোমার এ অঞ্চলেই থাকেকাল বৃষ্টিতে ওর ঘরের চালটা ফুটো হয়ে গেছে জানোব্যাচারীর খুব কষ্টআমি এসেছি দুদিন হোলদোলনের কাছেই ছিলামও বলল-তুমি এবার বৌদির কাছে চলে যাওগিয়ে আমার কথা বলবে, তাহলেই বুঝতে পারবেবৌদি তোমাকে কাজে রাখবে
 রজত মনে মনে ভাবছে, দোলন কি জানে আমার বউ এখানে নেই
 -তুমি থাকো কোথায়?
 -আমি যেখানে থাকি সেটা তোমার বাড়ী থেকে অনেক দূরেএকদম গ্রাম
 রজত কেমন হ্যাংলা চোখে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে রয়েছেগ্রামের মেয়ের মধ্যেও এত চটক
 -কে কে আছে তোমার বাড়ীতে?
 -কোলের একটা বাচ্চা আছে, আর কেউ নেই
 বাচ্চার মায়েরও এত ভরা যৌবন? এ তো ফেটে পড়ছে
-বাচ্চাটা কোথায়?
 -ওকে দোলনের কাছে রেখে এসেছিএখানে এনে কি হবে? খালি ঘ্যান ঘ্যান করবেকাজের ব্যাঘাত হবেদোলনই ওকে দেখবে
 -তুমি দোলন কে চেনো কি করে?
 -ওতো বিয়ের আগে আমার গ্রামেই থাকতএখন বিয়ে করে তোমার এ তল্লাটে চালা ঘরটায় স্বামীর সাথে থাকেওর স্বামী বালবের কারখানায় কাজ করেআমাকে ঐ খবর দিলগ্রামে গেছিল, বলল-তোমার বউ কাজের লোক খুজছে
-আর তোমার স্বামী?
-আমি ওর সাথে ঘর করিনা

-কেন?
-ওকে আমার ঠিক পছন্দ নয়সারাদিন কোন কাজ নেইশুধু মদ নিয়ে পড়ে থাকেসম্পর্ক রেখে কি হবে?
রজত মনে মনে ভাবছে,তাহলে তো আমার সাথে সম্পর্ক হতে পারেবেশ ভালমতই মজেছে রজতমেয়েটা একটু নিচু হোলমনে হলো ভিজে স্তনদুটো ব্লাউজের ভেতর থেকে খসে বেরিয়ে আসতে চাইছেরজতের কানের পাশটা গরম হয়ে উঠলমনে হলো ঐ বুকের মধ্যে যদি মুখটা রাখতে পারত একবার একবার
 -তোমার নামটা যেন কি বললে?
 -সিরিজা
 -এত সুন্দর নামতোমাকে এত সুন্দর দেখতেআর তোমার স্বামী তোমাকে ধরে রাখতে পারল না?
 -ওর কথা আর বোলো নাজাতে মাতালতাল ঠিকানা নেইনেশার জন্য রোজ দুতিন বোতল মাল পেলেই হোলআর কিছুর দরকার নেইওকে আমার ঠিক পছন্দ নয়বউকে তো খাওয়ানোর মরদ নেইতার চেয়ে ওখানেই থাকআমি ওকে ছেড়ে চলে এসেছিতোমারও ভক্তি হবে না লোকটাকে দেখলেআমি আর আপদ স্বামীর কাছে ফিরে যাব না
রজতের মনে হোল মেয়েটার তার মানে কোন বাঁধন নেইওর যৌবনের দাপটটাই ওর স্বামীর থেকে ওকে আলাদা করেছে
 -কিন্তু তোমার স্বামী যদি এখানে আসে?
 -চিন্তা কোরো নাআমি এখানে থাকলে তোমার কোন অসুবিধা হবে নাখালি আমার কথা এক্ষুনি কাউকে বোলো না
রজত মনে মনে ভাবছে স্বামীতো মন থেকে মুছেই গেছেকিন্তু ওর যা শরীরের ঝলকএই মেয়েকে পাওয়ার জন্য কত লোকই না জানি ওর পিছনে ঘুরঘুর করবেবেশ মনঃপূত হয়েছেকাজের মেয়ে এমন? ভাবাই যায় নাভাগ্য যদি সহায় থাকে,ওফঃতাহলে যে কি হবে? চোখ দিয়ে রজত খালি মেপে যাচ্ছিল মেয়েটাকেযাকে বলে পর্যবেক্ষনমনে মনে বলল-একটু দিলখুস করে দাও না?
-তোমার বউতো এখন নেইতাহলে কি হবে? আমি তাহলে এখন যাই
রজতের হাতে সিগারেটটা পুড়ছিলহঠাত ওটা ছ্যাঁকা লেগে গেল। -না নাতুমি থাকোআমার বউ নেই তো কি হয়েছে? ওতো বাপের বাড়ী গেছেচলে আসবেতুমি আজ থেকেই কাজ শুরু করে দিতে পারো
মেয়েটা উঠে দাড়িয়ে রজতের ফ্ল্যাটটা ভাল করে দেখছিলরজতকে উদ্দেশ্য করে বলল-একটা তোয়ালে দাও নাগাটা ভাল করে মুছিএখনও জল লেগে রয়েছে
রজত তাড়াতাড়ি একটা তোয়ালে এনে দিলসিরিজা ওর পিঠ বুক মুছছেনীল সাগরের মতন উদ্দাম ঢেউ ওর সারা শরীর জুড়েশরীরের রেখাগুলো কি উদ্ধতযৌন সন্মন্ধের সূত্রপাতটা এখনই মাথা চাড়া দিয়ে উঠছেরীতাকে বিয়ে করে বিতৃষ্না এসে গিয়েছিল, আর সিরিজা এসে তৃষ্না বাড়িয়ে দিয়েছেওর বুকের আঁচলটা বেশ খানিকটা সরে গেছেরজতের মুখটা আসতে আসতে রক্তিম হয়ে উঠছে
একটা দুর্লভ সুযোগ রজতের সামনেএ মেয়ে যেন যে সে মেয়ে নয়ওকে পাওয়ার একটা প্রবল ইচ্ছা জাগছে রজতের মনেকিন্তু কোন উদ্যোগ নিতে পারছে নাআসতে আসতে ব্যাপারটা কোন দিকে গড়াচ্ছে? রজতের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছিলো
তোয়ালেটা রজতের হাতে দিয়ে সিরিজা বলল-এ ভাবে আমার দিকে দেখছতোমার বউ জানতে পারলে রাগ করবে

রজত নিজেকে সামলে নিল
 -সকালে ঘুম থেকে উঠে চা খেয়েছ? আমি তো সাত সকালেই চলে এসেছিনা যদি খেয়ে থাকো বল করে দিচ্ছি
 -তুমি চা করতে পারো?
 -শুধু চা নয়ভাল রান্নাও করতে পারি
 -তাই
 -বউদি তো নেইবল তোমার জন্য খাবার করে দিচ্ছিতুমি যেটা ভালবাস
 -তুমি রাঁধবে?
 -তোমাকে তো রেঁধে খাওয়ানোর লোক নেইএকদিন আমার হাতের রান্না খেয়ে দেখ ভাল লাগবে
 -বেশ তাহলে তাই
রজত দেখল সিরিজা রান্না ঘরটার দিকে উঁকি মারছেও নিজেও আবার সিরিজাকে একদৃষ্টে দেখছে, যেন মেয়েছেলে আগে দেখেনি এভাবেএকবার মনে হোল মেয়েটার মনে হয় ক্ষিধে আছে প্রচুরওর স্বামী ওর ক্ষিধে মেটাতে পারে নিএমন মেয়ে কাছে পেলে স্বাভাবিক আচরণ চালিয়ে যাওয়া খুব কঠিন
সিরিজা রান্নাঘরে ঢুকেছে চা করবে বলেরজত বাইরের ঘরের সোফাটার উপর বসলমেজাজটা বেশ ফুরফুরে হয়ে গেছে ওরএতো মেঘ না চাইতেই জলসুটকেশটা একপাশে রাখা রয়েছেরজত ওটার দিকে তাকিয়ে হাসছিলকালকের দিবাকরের কথাও মনে পড়ছিলসিগারেটের সুখটান দিতে দিতে ও একদৃষ্টে রান্নাঘরের দিকটায় তাকিয়ে রইল
বৃষ্টি মাথায় করে একটা মেয়েটা এসেছে ওর ফ্ল্যাটেএরকম একটা সেক্সী মেয়েছেলে ওর কপালে জুটল কি করে? রজতের বেশ অবাক লাগছিলমেয়েটাকে দেখে মনে হোল একেবারে বারুদের স্তূপরজত যদি এবার ওর দেশলাই কাঠি হতে পারেনিজেকে সংযত রাখতে পারছিল না রজত কিছুতেইএক ঝলকেই মাতিয়ে দিয়েছে সিরিজারজতের সারা শরীরে এখন যে অস্থিরতা, এটা যদি মেয়েটাই কাটাতে পারে
রজত ভাবছিলো, মেয়েটার মধ্যে একটা রসভরা যৌবন আর কামচেতনা আছেযেটা রজতকে পুরোপুরি নাড়িয়ে দিয়েছেও যদি শাড়ীটা খুলে একবার ন্যাংটো হয়সম্পূর্ণ নগ্ন এক নারীরজত তাহলে বর্তে যাবেউলঙ্গ সৌন্দর্যের থেকে ভালো কিছু নেইকাপড় চোপড় পড়া না থাকলেই তো দারুন লাগবেকেমন যেন সুখানুভূতি হচ্ছিল রজতেরএসব চিন্তা করলেই দু পায়ের মাঝখানে রক্তসঞ্চালন বেড়ে যায়
এ মেয়ে যদি ঝি হিসেবেও কাজ করে, তার মানে নতুন ঝি কে নিয়ে একেবারে স্ক্যান্ডালের গন্ধতাও আবার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে? রজত যেন মেয়েটাকে ঝি হিসেবে মেনে নিতে চাইছিল নাএত সুন্দর যার চেহারা, সুন্দর মুখ, সুন্দর বুকসবকিছুই মনে হয় সুন্দরসে হবে ওর বাড়ীর ঝি? ঠিক যেন মনটা সাড়া দিচ্ছে না
বউ রীতীর চ্যাপ্টারটা ক্লোজড্ হয়ে গেছেএখন একটা নতুন চ্যাপ্টার শুরু হওয়ার অপেক্ষায়যৌনসুখের জন্য এমন মেয়ের দ্বারস্থ হওয়াই যায়সবসময়ের জন্য একটা কাজের মেয়ের দেহ উপভোগ করার সুযোগ যদি সত্যি পাওয়া যায় অবাধে, তাহলেই তো একা থাকার অভাবটা ঘুচবেআর রজত তো ঠিক এমনটাই চেয়েছিল
সিরিজা চা নিয়ে এসে ঘরে ঢুকল একটু পরেইদেখল রজত সোফায় বসে একমনে কি যেন ভাবছে
 -তোমার চা করেছিখেয়ে নাও ঠান্ডা হয়ে যাবে
চা টা টেবিলে রাখার সময় ওর দেহটা সামনের দিকে ঝুকে পড়লরজত দেখল ওর বুকের গভীর খাঁজ

চায়ের কাপটা মুখে ঠেকাল রজতকি করবে আর কি বলবে বুঝেই উঠতে পারছে নাযেন আর তর সইছে নামেয়েটা যদি যেচে এসে একবার ছোঁয়া দেয়
রজত ঠিক বুঝতে পারছিল না যে ওকি জেনেশুনে একস্পোস্ করছে নিজেকে? এমন রূপের ঝলকানিতে তো চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে বারবারযত দেখছে তত আকর্ষন বেড়ে যাচ্ছেএই উদ্দামতা কি ও কতক্ষণ ঠেকিয়ে রাখবে?
মনে মনে ভাবতে লাগলো, একবার ওকে বলবে কিনা? -তোমাকে দেখার পর থেকে তোমাকে পাওয়ার জন্য আমি কত পাগল হচ্ছি সিরিজা তুমি জানো? আমার ছটফটানিটা দেখেও কি তুমি কিছু বুঝতে পারছ না? তুমি যদি সাড়া না দাও আমার চলবে কি করে? আমি তোমাকে একবারের জন্য জড়িয়ে ধরবএকবার শুধু তোমার ঠোটে ঠোটটা রাখব, আর বুকে মুখটা ঘসব
 -তোমার ঘরে ঝুল ঝাড়ু আছে?
 -ঝুল ঝাড়ু? রজত শুনে আঁতকে উঠল
 -না নেইঝুল ঝাড়ু কি করবে?
 -দেখছ না দেওয়ালে কত ময়লা জমেছেঐগুলো পরিষ্কার করে দিতাম
 -না নেই তো কাছেছাড়ো ও তোমাকে পরিষ্কার করতে হবে না
 -বেশ তাহলে ঐ ফটোটা?
 -কোন ফটোটা?
মাথার উপর দেওয়ালে রজতের ছবিটার দিকে তাকিয়ে সিরিজা বলল-ওটাতো তোমার ফটোএকটা কাপড় থাকলে দাও নাএত সুন্দর ছবি তোমারময়লা জমেছেপরিষ্কার করে দিই
 -ওতো অনেক উঁচুতেতুমি পারবে না
 -ঠিক পারবএই সোফার উপর দাঁড়ালেই নাগাল পেয়ে যাব
রজত ভেতরের ঘর থেকে একটা পুরোন কাপড় এনে সিরিজার হাতে দিলও কাপড়টা হাতে নিয়ে সোফার উপর উঠে দাঁড়ালফটোটা মুছছে আর আড় চোখে রজতের দিকে তাকাচ্ছিল
গোড়ালিটা মাঝে মাঝে উঁচু করছিল পেছন থেকে শাড়ীশুদ্ধু পাছাটা দেখিয়েই রজতকে পাগল করে দিচ্ছেরজতের বেশ ভাল লাগছিলমনে হচ্ছিল কাছে গিয়ে ওকে কোলে তুলে নেয়হাত বাড়িয়ে ফটোটার নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করছেমোছার কাপড়টা হঠাত হাত ফোস্কে মাটিতে পড়লরজতের দিকে তাকিয়ে বলল-এই কাপড়টা একটু আমার হাতে দেবে?
রজত ওটা ওর হাতে দিলসিরিজা এবার পা ফোস্কে সোফা থেকে পেছন মুখ করে পড়লমাটিতে পড়ার আগেই রজত ওকে লুফে নিলক্যাচ্, একেবারে হিন্দী সিনেমার মতনশাড়ীর আঁচল বুক থেকে সরে গিয়ে মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছেরজত আবার আরেক মূহূর্ত পাথরের স্ট্যাচুওর চোখটা ঠিকরে বেরোচ্ছে এবারসিরিজার দুটি পর্বত আকারের মাইগলার কাছ থেকে নেমে এসেছে, বুকের দীর্ঘ খাঁজসারা বুক জুড়েই রাজত্ব করছে স্তনমাই দুটো যেন ব্লাউজ ভেদ করে বেরিয়ে আসতে চাইছেরজত ওর বুকদুটোকে দেখছে বিস্ময় সহকারেএমন বুকের জন্য যে কোন মেয়েছেলে গর্ভ অনুভব করতে পারে
-আর একটু হলেই পড়ে যাচ্ছিলাম আর কি
-প্রথম দিনই কাজে এসে তোমার চোট লেগে যেত
-তুমি তো ধরে নিলে আমাকেভাগ্যিস




রজত সিরিজাকে ওর বাহূর কোল থেকে নামিয়ে দিলমাটিতে শাড়ীর আঁচলটা গড়াগড়ি খাচ্ছেসিরিজা ওটা তুলতে ব্যাস্তএকটু ঝুঁকে গোছাটাকে সামলানোর চেষ্টা করছিলরজত দেখল সিরিজার বুকের খাঁজটা তখনও বেরিয়ে আছেরজত চোখ দিয়ে ওর বুকদুটোকে গিলছেসিরিজা কোন ভ্রুক্ষেপ করছে না তাতে
একি দেখছে রজত ওর চোখের সামনেবাতাবী লেবুর মতন ডাঁসা ডাঁসা দুটো বুকস্তনদুটো যেন বিশাল হাওয়া ভর্তি বেলুনকি তেজ ওর ঐ বুকেরযেন ঝলসে উঠছে বুকদুটোরজত নিজের প্রবলতর যৌন উত্তেজনা আর শীর্ষসুখকে বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করছিলচুম্বক শরীরটা যেন আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে সারা শরীরে
সারা শরীরে রজতের একটার পর একটা বিদ্যুত খেলে যাচ্ছেবাকী জীবনের সমস্ত সুখটাই যেন ওর উপর নির্ভর করছে
মনে মনে বলল, এলেই যদি এত দেরী করে এলে কেন সিরিজা? তোমাকে আগে পেলে কী দারুন ব্যাপারটাই না হতোদেখ আমি কেমন কামাতুর হয়ে গেছি তোমার জন্যএই ইচ্ছাটাকে আমি যে কিছুতেই দমন করতে পারছি নাসবকিছু ফেলে শুধু তোমাকে নিয়েই পড়ে থাকতে ইচ্ছে করছে
আত্মহারার মতন ওর দিকে তাকিয়ে ছিল রজতসিরিজা কি ওকে গ্রাস করছে মাদী মাকড়শার মতন? এ কি পরিচারীকা না তীব্র যৌনতার প্রতিচ্ছবি?
জামা কাপড় না খুলেই এইখুললে কি হবে? সেক্স কতটা মারাত্মক বোঝা যাচ্ছেপূর্বরাগে, শৃঙ্গারে, অগ্নিগর্ভ করে তুলতে হয় এসব নারীকে
সিরিজা বলল-তোমার ঘরে কিছু পড়ার মতন আছে? শাড়ী? এটা একদম নেতিয়ে গেছে
রজত থতমত খেয়ে বলল-না তো?
-সেকী বউও নেইশাড়ীও নেই?
-না মানে আলমাড়ীটায় তালা দেওয়াচাবি আমার কাছে নেই
 -দেখ বাপুএই ভিজে শাড়ী পড়ে আমি থাকতে পারব নাতাহলে আমি শাড়ীটা খুলে ফেলছিশুধু ব্লাউজ আর শায়া পড়ে তোমার ঘরে ঘোরাফেরা করবআমার দিকে কিন্তু একদম তাকাবে না
 রজত প্রথমে কিছু বুঝতেই পারল নাএ কি বলছে ও? তারপর ঢোঁক গিলে বলল আচ্ছা
 -তোমার সামনেই ছাড়ব? না তোমার শোয়ার ঘরে যাওয়ার আমায় অনুমতি দেবে?
 রজত পুরো থ মেরে গেছে সিরিজার কথা শুনে
ইচ্ছে থাকলেও রজত ওকে বলতে পারল না যে সামনেই শাড়ীটা ছাড়োসিরিজা রজতের শোবার ঘরে চলে গেল শাড়ী খুলতেসোফায় বসে রজত মনে মনে ভাবছে এতো দেখছি আমার থেকেও বেশী নির্লজ্জ্বশাড়ীটা খুলে যখন শোওয়ার ঘর থেকে বেরোবে না জানি কি হবেগায়ের লোমগুলো সব খাঁড়া হয়ে যাচ্ছেএকটা শিহরণ হচ্ছে
ভেতর থেকে শুধু ব্লাউজ আর শায়া পড়ে আসবেএরপরে যদি আবার স্বেচ্ছায় গা থেকে একটা একটা খুলে পুরোই নগ্ন হয়ে যায়, তাহলে যেন রজতকে বলে দিতে হবে না কি করতে হবেব্লু ফিল্ম এর কোন এক নায়িকার নগ্ন ছবি দেখেছিল রজতসিরিজা কি ঐরকম হবে?
রজত ভাবছিল, আচ্ছা আমিই যদি এখন ওর একমাত্র পুরুষ হই? যে ওকে আনন্দ দেবেঅনায়াসে ওর বুকে হাত ছোঁয়াবেওর শরীরটা নিয়ে খেলা করবেতাহলে সিরিজা নিশ্চই মেনে নেবেরজত যেন খুব ভাগ্যবাননইলে এমন চোখ ঝলসানো শরীরটা ওর কাছে এসে জুটল কি করে?
নারী যদি ভোগ করার মতন উপযুক্ত হয়, তাহলে তাকে ভোগ করেও আনন্দ


BAKITA DEKHTE CLICK KORUN