Sunday, 3 March 2013

ময়ুরী কাকিমার উপসী শরীর আর পাবলোর ডায়েরী


পাবলো জিম থেকে বাড়ী ফিরে এসে টিভি দেখছিল। টিভির পর্দা থেকে চোখ সরিয়ে দেখল, কাকিমা ওর শরীর ঘন হয়ে এসে দাঁড়িয়েছে। ৩৯ -এর ভরাট নদী উথাল-পাতাল শরীরটা থেকে যেন আশ্চর্য মোহগন্ধ ধরা দিচ্ছে। ভরাট উদ্ধত স্তন ছোঁয়া লাগছে পাবলোর শরীরে বুকে। কাকিমা বললো, দেখো তো পাবলো, আমার গলায় কিসব যেন হয়েছে, খুব জ্বালাচ্ছে। পাবলো তাকালো, কাকিমার ফর্সা গালে লাল গুঁড়ে গুঁড়ে চুনী দানার মত বিন্দু কতগুলো। বোধহয় কোন অ্যালার্জী বা স্কিন ইরাপশান। ঘোর লাগা আচ্ছন্ন চোখে ও তাকিয়ে রইলো। গলার দাগগুলো এক ঝলক দেখেই ও চোখ সরিয়ে নিল। গুরুত্বই দিল না। বুঝতে পারল, এত রাত্রে বাড়ীর অন্যেরা যে যার ঘরে দরজা বন্ধ করে যখন ঘুমিয়ে পড়েছে, কাকীমা গলার দাগ দেখাতে এই তিনতলার নির্জনতায়, পাবলোর ঘরে মোটেও ওর কাছে আসেনি।
কেন এসেছে তাহলে? দাগগুলো কি সত্যিই খুব জ্বালাচ্ছে? একুশ বছরের যুবকের কাকীমাকে বুঝতে একটুও অসুবিধে হয় না। পাবলোর চোখ এবার গলা থেকে পিছলে নেমে এল, কাকিমার ধবধবে ফর্সা স্তনের উপত্যকায়। লাল কাফতানের লোকাট গলা দিয়ে কাকিমার স্তনরেখা। যেন স্বঘন রোমান্টিকতা উড়ো চিঠির আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। পাবলোর সারা শরীর জুড়ে এক উথাল পাতাল অনুভব,টানটান বাঘলাফ হচ্ছে। যদিও এঘরে এখন কেউ আসবে না। বাবা-মা-বোন, যে যার ঘরে হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। তবু বাড়তি সতর্কতা হিসেবে পাবলো ঘরের দরজাটা এবার বন্ধ করে দিল। ফিরে এসে কাকীমার শরীর ঘেঁসে দাড়ালো।
‘দরজা বন্ধ করলে কেন?’ কাকীমার চোখে এখন এক অন্যরকম ছায়া। পাবলো ঘন চোখে কাকিমার দিকে তাকালো। ‘ভাল করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে না, তোমার গলায় ওগুলো কি হয়েছে।’
‘ও পরীক্ষা করবে?’ রহস্যময় হাসি দিল কাকীমা। পাবলো হাত বাড়ালো। বিন্দু বিন্দু চুনী দানাগুলোর ওপর আঙুল বোলালো। তারপর আঙুলগুলো নিচে নামাতে লাগল।
রক্তরাঙা কাফতানের ওপর স্তনের বিভাজিকায় আঙুলগুলো এসে থামলো। নড়ল চড়ল। কাকিমা প্রশ্রয়ের ভঙ্গীতে হাসল। ‘এই দেখো, আবার পাগলামো শুরু করলে?’
পাবলোর দুষ্টু হাত ততক্ষণে নেমে এসেছে, ময়ুরী কাকীমার স্তনে। কাফতানের ওপর দিয়েই ওর হাত স্তন দুটোয় চাপ দিতে লাগল। কাকিমা বাধা দিল না। বাধা যে দেবে না, সেটা পাবলো ভালমতনই জানতো। উল্টে কাকিমা পাবলোর হাতটাকে সপ্রশয়ে চেপে ধরল নিজের বুকের ভেতর। পাবলোর অন্যহাতটা নিজের অন্যহাতের মুঠোয় শক্ত করে চেপে ধরলো। কাকিমার চোখে-মুখে তখন কাফতানের রঙের প্রতিচ্ছায়া লাগতে শুরু করেছে। স্তন দুটোকে হালকা মুঠোয় চেপে ধরল পাবলো এবার। কাকিমা দু’চোখ বন্ধ করে ফেললেন, সারাটা মুখে প্রবল সুখের ছায়া, যা অনবরত ভাঙচুর হচ্ছে। যেন নতুন সুখের নির্মাণ গড়ে উঠছে।
পাবলো মুখটাকে নামিয়ে আনলো। কাকিমার দু’চোখ বন্ধ। পাবলো আদর চালাতে চালাতেই কাকিমার ঠোঁটে আঙুল ছোঁয়ালো, বোলাতে লাগল আলতো করে। একবার দু’বার তিনবার, এবার কাকীমা সাড়া দিল। ওর ঠোঁট সামান্য ফাঁক হয়। আর তখনি পাবলোর চোখ চলে যায় টেলিভিশনের পর্দায়। ন্যাশানাল জিওগ্রাফি চ্যানেলে তখন এক দুরন্ত দৃশ্যে বাঘ তাড়া করেছে সন্ত্রস্ত হরিণীকে। পাবলো এবার কাকিমার ঈষৎ ফাঁক, নরম ভিজে ঠোঁটে নিজের ঠোঁট গুজে দেয়, প্রাণপনে চুষতে শুরু করে। হয়তো আধমিনিট। তারপরই কাকিমা সাড়া দেয়। পাবলোর কোমরটাকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে গভীর করে। অন্য হাতে ওর মাথার পেছনটাকে চেপে ধরে মাথাসহ মুখটাকে কাছে টেনে নেয়। পাবলোর ঠোঁট দু’টোকে নিজের ঠোঁট জোড়া দিয়ে প্রায় কামড়ে ধরে। মেতে ওঠে এক প্রবল রকমের আশ্লেষময় চুমুতে।
টিভির পর্দায় তখন বাঘ ঝাঁপিয়েছে তার শিকারের ওপর। টুটি কামড়ে ধরেছে। আর চুম্বনরত পাবলোর শরীরে তখন বিদ্যুতের আলোয় ময়ুরী কাকিমার কাফতানের রং প্রতিফলিত হয়ে শরীরটা খুনখারাবি রক্তে যেন মাখামাখি হয়ে যাচ্ছে। টিভির পর্দায় বাঘ শিকারকে প্রায় কব্জায় এনে ফেলেছে। কিন্তু এখন এই ঘরে কে শিকার আর কেই বা শিকারী?
 



No comments:

Post a Comment