Thursday, 14 February 2013

সিরিজা একটি বিস্ফোরক উপন্যাস ১ম পর্ব



এক

বিয়ের পর একমাসও রজতের সাথে ঘর করতে পারেনি রীতাএমন পুরুষকে নিয়ে ঘর করা কিছুতেই সম্ভব নয়রজতের টুরুম ফ্ল্যাট ছেড়ে রীতা এখন ওর বাপের বাড়ীতেঠিক করেছে আর কোনদিন রজতের কাছে ফিরে যাবে নারজত নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছেরীতা ওর সাথে মানিয়ে নিতে পারেনি,এখন শুধু ডিভোর্স হওয়াটা বাকীরজতের অতিরিক্ত কাম স্বভাবই রীতাকে রজতের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেবিয়ের পরও যে অন্য মেয়েছেলে নিয়ে ফুর্তী করতে পারে, রাত বিরেতে বাড়ী ফিরতে পারে,এমন এক উশৃঙ্খল জীবন, তার সাথে ঘর না করাই ভালরীতা অনেক দূঃখে রজতের সঙ্গ ছেড়েছেআর ও রজতের কাছে ফিরবে না কিছুতেই
বাড়ীতে রজত এখন একা থাকেআত্মীয় সজন, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ বিশেষ নেইকারুর খোঁজ রাখে নাকেউ ওর বাড়ীতে আসেও নানামকে ওয়াস্তে ও একটা চাকরী করেঅফিসে যায় আর বাড়ী ফেরেমাঝে মধ্যে মদ নিয়ে পড়ে থাকেসাথে ব্লুফিল্ম আর পর্ণো ম্যাগাজিনকখনও নিজে রান্না করে আবার কখনও হোটেল থেকে খাবার এনেও খায়যেন রুটীন মাফিক জীবনকিন্তু এভাবে জীবন কাটাতে ওর যেন আর ভাল লাগে নামাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা একটু পাল্টে গেলে হয় না? গতানুগতিক জীবন কাটাতে আর কার ভালো লাগে? দুতিনদিন ভাড়া করা কয়েকটা মেয়ে এনেও মন ভরছে না রজতেরবেশ্যাপল্লীতে দুরাত্রি গিয়ে ভালমতন সুখ করেছে, তাতেও আঁশ মিটছে নাতাহলে রজত কি পেতে চাইছে? এর জন্য রজতের মতন আপনারাও দুটো দিন অপেক্ষা করুন,সব জানতে পারবেনরজতের এই কামুক জীবনে এমন কেউ আসবে যে রজতের সব অভাব মিটিয়ে দেবেশুধু এখন তারই অপেক্ষা
মনে মনে একটা নারীসঙ্গ রজত এমনই খুঁজছিল যে হবে অন্যদের থেকে একটু আলাদাওর সবসময়ের সঙ্গীসঙ্গে থাকবে সবসময়ওর নিজস্ব টু রুম ফ্ল্যাটে একসাথে রাত কাটাবে যৌনসঙ্গিনী হয়েরীতা যখন নেই,তখন আর কোন বাধাও নেইওর সঙ্গে ভালমতন সেক্সুয়াল লাইফ যখন গড়েই উঠল নাতখন পরিবর্ত হিসাবে এমন কাউকেই যেন চাইএক অশ্লীল যৌনখেলায় ও মেতে উঠতে চায়মেয়েটি হবে সুন্দরী আর সেক্সীরজতকে নিয়মিত যৌনসুখ দিতে সেও রাজী থাকবেরজত যেন তাকে নিয়েই মেতে থাকবে সবসময়
কত তো মেয়ে আছে এই বাজারেএকটু খুঁজলে কি পাওয়া যাবে না? রজত খুব চায়, তবে মনের মতন পায় নাসবই যেন ঐগুলো এক রাত্রিরের খোরাকবার বার নিয়ে শুতে ভাল লাগে না কিছুতেইএমন একজনকে দরকার যে ওকে সবকিছু উপড়ে দেবেরজতকে সুখের সাগরে ভাসিয়ে দেবেযাকে নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করবে রজতসবসময়ের জন্য এমনই এক নারীর প্রয়োজনউদ্দাম ফুর্তী আর সেই সাথে চরম যৌনমস্তিচোদনের কথা ভাবলেই শরীরে উত্তেজনা এসে যায়ওফঃ কখন আসবে সেই মূহুর্ত? এক ঘেঁয়ে জীবন কাটাতে আর যেন ভাল লাগছে নাএকটা মেয়ে চাইযার সাথে হবে স্থায়ী সম্পর্ককারুর পরোয়া নেই,কাউকে নিয়ে মাথাব্যাথাও নেইশুধু অনাবিল যৌনস্রোতের সুখে ভেসে যাওয়ার অপেক্ষাকথায় বলে সবুরে মেয়া ফলেদেখাই যাক রজতের জীবনে শেষ পর্যন্ত কি হয়রজত যেন দিন গুনছে তারই
কদিন ধরেই ও ভাবছিল, বাইরে কোথাও ঘুরে আসবেএই শহরের কাছাকাছি কোথাওঘরে যেন আর মন টেকে নাযদি কোথাও দ্বারস্থ হওয়া যায়পর্বত অরণ্যের আদিবাসী রমনীর মতন কোন প্রকৃতি কন্যা যদি খুজেঁ পাওয়া যায়দৈহিক ক্ষুধা চরিতার্থের জন্য কোন আদিবাসী মেয়ে পেলেই বা মন্দ কি? উদোম ন্যাংটো করে কোন মেয়েকে যদি মোক্ষম ঠাপানো যায়ভরপুর মস্তি করা যায় তাহলে এর মতন সুখ যেন আর কিছুতে নেইও মেয়েছেলেদের শরীর চাটতে ভালবাসেএকটা আলাদা রকম আনন্দ পায় ঐ শরীর চাখার মধ্যে

তার ওপর উপরি পাওনা হয়, সে মেয়ে যদি নিজে থেকে শরীর বিলিয়ে নির্লজ্জ্বের মতন দেহ উপভোগ করতে দেয়তাহলে তো কথাই নেইকিন্তু সেই দিনটা কবে আসবে যে ওকে সব উজাড় করে ঢেলে দেবে? অবাধ যৌনজীবন উপভোগ করার জন্য ওতো মুখিয়ে আছেশুধু একটা সুযোগের অপেক্ষায় দিনগোনাযৌনতার পূজারী রজত সেই নারীর সুধারস কবে পান করবে?
সুটকেশ গুছিয়ে রজত মোটামুটি রাতের ট্রেন ধরার জন্য তৈরী হয়ে পড়েছেহঠাৎই বাধ সাধল বৃষ্টিএমন জোড়ে বৃষ্টি যে এখন ঘর থেকে বেরোনোই দায়রজত একটা সিগারেট ধরিয়ে ভাবছে এখন কি করবেজানলা দিয়ে বৃষ্টিটাকে মাপার চেষ্টা করছিলযেভাবে মুশল ধারে বৃষ্টি নেমেছে, সহজে এক্ষুনি থামবে নাঅগত্যা যাওয়া কি তাহলে ক্যানসেল? অভিলাস পূরণ হবে কি করে?
ওর শরীরের ভেতরটা উসখুস করছেবৃষ্টিটা যেন নামার আর সময় পেল নাঠিক আছে, আজ না হলে কালযাওয়া না হয় একদিন পেছবেএর থেকে আর কি হবে? আজকের রাত্রিটা মদ্ আর ব্লুফিল্ম দেখেই কাটিয়ে দেবে, তারপরে কাল খুব ভোরে ট্রেন ধরবেমোবাইলটা হাতে নিয়ে নড়াচড়া করছিল রজতহঠাত ওর চোখ পড়ল একটা মিস্ কল
নম্বরটা মোবাইলে সেভ্ করা নেইনামটা ওঠে নিকে হতে পারে? নতুন নম্বরে ফোন এলে যেন আরও বেশী করে ইচ্ছে করে কথা বলতেরজত কল্ ব্যাক করল
 -কে বলছেন?
 -এই অধমকে চিনতে পারছ নাআমি দিবাকর
 -দিবাকর?
 -আজ্ঞে হ্যাঁতোমার খাস দোস্তচিনতে পেরেছ?
 -তোমার নম্বর তো সেভ করা নেইবুঝতে পারিনি
 -নতুন মোবাইল নিয়েছিপ্রথম ফোনটা তোমাকেই করলাম
 -বাজে লোকটাকে এতদিন বাদে মনে পড়ল?
 -এতদিন আর কোথায়এই তো মাস চারেক আগে তোমার সাথে দেখা হয়েছিলশুনলাম,তুমি নাকি বিয়ে করেছতারপর আবার বউ ছাড়া এখন একা একা রয়েছতা হোল কি?
 -ও সব কথা তোমাকে সামনে দেখা হলে বলবতা তুমি এখন কোথায়?
 -আসব না কি? এই বৃষ্টিতে? বলতো ট্যাক্সি নিয়ে চলে আসতে পারিআর যদি বল সাথে ওয়াইন এর একটা বড় বোতল
 -অবশ্যইআজকেই এসকাল আমি বাইরে কোথাও যাব বলে প্ল্যান করেছিবৃষ্টিটা না আসলে চলেই যেতাম
 -আসছি তাহলেওয়েট করআমি একঘন্টায় পৌঁছোচ্ছি
রজত লাইনটা ছেড়ে দিলহঠাৎ যেন একটা আশার আলো ওর মনটাকে চাগিয়ে দিলচারমাস পরে দিবাকরের সাথে যোগাযোগতাহলে কি এবার নতুন কিছুর সন্ধান মিলতে পারে? দিবাকর তো ওর স্বভাবটা জানেযদি একটা মেয়ে জুটিয়ে দিতে পারেদেখাই যাক নারজত বেশ খুশী খুশী হয়ে উঠল
একসময়ে রজতের মদ খাওয়ার পার্টনার দিবাকরকত মেয়ে পটানোর ছক হয়েছে বসে বসেএবারও যদি সেরকম একটা সুযোগ আসেরজতের পরনারী গমনে ইচ্ছুক মন রজতকে টিকতে দিচ্ছে নাশারিরীক উত্তেজনা মেটাতে চরিত্র খুইয়েছে রজতমেয়েটির দিক থেকেও যদি কোন বাধা না আসে তাহলে ওকে কে আটকায়? এবার শুধু উপভোগ করার জন্য একটা সঙ্গী চাইদিবাকর কি ওকে সেই সন্ধান দিতে পারবে? পারবে সবসময়ের জন্য একটা নারী এনে দিতে?

রজত টিভিটা চালিয়ে দিবাকরের জন্য ওয়েট করতে লাগলদিবাকর এল ঠিক এক ঘন্টার মধ্যেইদরজায় কলিং বেল বাজলোরজত উঠে দরজাটা খুলে দিলদিবাকর সামনে দাঁড়িয়ে আছে হাতে মালের বোতল নিয়েরজত ওকে অভ্যর্থনা করল
 -এসো এসো দিবাকরআমি তোমার জন্যই অপেক্ষা করছি
 -তাহলে তোমার সাথে দেখা শেষ পর্যন্ত হলোতা আছ কেমন?
 -ভাল
 -কি ব্যাপার বলতোসুটকেশ ফুটকেশ গুছিয়ে কোথাও যাবার প্ল্যান করছিলে নাকি?
 -সত্যি কথা যদি জানতে চাও, সেভাবে কোন প্ল্যানই করিনিতোমার ফোন আসার পর আমার সব প্ল্যান ভেসতে গেছে
 -এ মাতাহলে কি এসে ভুল করলাম?
 -না নাতুমি ঠিক দরকারের সময়ই এসেছবসোতোমার সাথে আমার কিছু প্রয়োজনীয় কথা আছে
রজত দিবাকরকে বসতে বলল
দিবাকর বলল-তাহলে মাল খেতে খেতেই শুনবটিভিটা চালিয়ে দাওগরম সিডি আছে নাকি? ব্লু ফিলম? চালিয়ে দাও, দেখি
রজত আর দিবাকর দুজনে মুখোমুখি বসে ড্রিংকস্ করা শুরু করলওর ফ্ল্যাটটায় একটা বেডরুম আর বাইরে ড্রয়িং রুমসোফা সেটের দুদিকে বসে ওরা মদ খাচ্ছেমাঝখানে একটা সেন্টার টেবিলমদের সাথে বাদাম এনেছে দিবাকর
 -ওফ অনেকদিন বাদে তোমার সাথে আবার একসাথে বসলাম
 -হ্যাঁ সেই মনে আছে? তাও তোমার বিয়ের অনেক আগে একবার বলেছিলামতা কি হলো বলতো? সব গন্ডোগোল, তুমিও এখন একাকি ব্যাপারটা কি?
 -বউ না থাকলেই তো ভালো
 -বউ না থাকলেই ভালো? হাঃ হাঃতুমি সত্যি একই রকম রয়ে গেছদিবাকর হাসছিল
 রজত কিছুক্ষণ বাদে মদ খেতে খেতে ঢোলা চোখে ওর ঐ টিভির স্ক্রীনের দিকে তাকাচ্ছিলএকটা গা গরম করা ব্লু ফিল্ম এর সিডি চলছেরজত ওটা উপভোগ করছিলদিবাকরকে উদ্দেশ্য করে বলল-এরকম একটা মেয়ে আমার চাই
দিবাকর টিভির স্ক্রীনের দিকে তাকালোঠোটের কাছে গ্লাসটা ধরে বলল-কি বলছ?
 -হ্যাঁযা বলছি বুঝতে পারছ না? ঠিক ঐ রকম
দিবাকর ভাল করে দেখলব্লু ফিল্ম এর হিরোয়িনকেহাসতে হাসতে বলল পয়সা ফেললে এক্ষুনি চলে আসবে তোমার কাছে
-আমি সবসময়ের জন্য চাইছি
দিবাকর চোখ বড় করে বলল-সবসময়ের জন্য?
 -হ্যাঁঅসুবিধা কি? তুমি তো জানো এখন আমার কোন প্রবলেম নেই
 -রাখতেই যদি হয়, তাহলে তো তোমাকে তাকে কেপ্ট করে রাখতে হবেরক্ষিতা চাইছ মস্তি করার জন্য?
-অনেকটা তাই
-বেশী পয়সা ফেললেই তো পাবে

-তোমার সন্ধানে আছে না কি?
 দিবাকর মাথা নীচু করে মদের গ্লাসে চুমুক দিলগ্লাসে চুমুক দিতে দিতে কি যেন ভাবলতারপর মাথা তুলে বলল-কিন্তু তোমার কি একটাতে মন টিকবে গুরু? আমি তো তোমাকে জানি
-সেরকম দরকার হলে চেঞ্জঅসুবিধে কি?
 -আমি বুঝতে পারছি না তুমি কি রকম চাইছ?
 -আমি যেটা চাইছি সেটা তুমিই এনে দিতে পারো
 -কি রকম?
 -আমি চাইছি একেবারে ডাগর শরীরআমার কাছেই সবসময় থাকবেমেয়েছেলের স্বাদ্ পাওয়ার জন্য আমাকে বাইরে যেতে হবে নাআমাকে দেখভাল করবেআমার মন খুশ হয়ে যাবে
 -বাঃআর?
 -আর কি? তোমায় মনে হচ্ছে খুলে বলতে হবে
 -নইলে খুঁজব কি করে? দিবাকর বেশ হাসছিল
রজত বলল-সবই থাকবেতুমি যেগুলো এই ব্লু ফিল্ম এ দেখছতার সবই থাকবেআমি মনে প্রাণে যা চাইব সেটা সে আমাকে দিতে পারবে অনায়াসেইযৌন-ক্রীড়ার ধরনটা হবে আলাদাগা গরম করে দেওয়ার মতনআমাকে সে পাগল করে দেবে
 -ওরে বাবা
একটা সিগারেট ধরিয়ে বেশ আগ্রহ নিয়ে দিবাকর রজতের কথা শুনতে লাগলওর কৌতূহল, আগ্রহ,উত্তেজনার রেশ সবই ফুটে উঠতে লাগল ওর চোখে মুখে
 -আর কি কি আছে মেয়েটার মধ্যে?
 -আমায় ও যা জিনিষ দিতে পারবে, আর কেউ দিতে পারবে নাবিছানায় ওর ভূমিকাটা হবে দেখার মতনশরীরের প্রতিটি রোমকূপ নগ্ন করে ওকে দেখতে পারবএকজন পুরুষকে কত গভীর ভাবে চোদন সুখ দেওয়া যায়, তা জানবে শুধু সেইই
 -সত্যি রজততোমার চোদন রসনা দেখার মতন
 রজত এবার নিজে একটা সিগারেট ধরিয়ে দিবাকরকে বলল-আছে না কি তোমার সন্ধানে?
দিবাকর মদের গ্লাসটা হাতে ধরে বলল-আমার চার পেগ চলছেনেশা হয়নি এখনওএবার বুঝতে পারছি তুমি কেমন চাইছকিন্তু একসাথে এত জিনিষ পাওয়া তো বেশ দুষ্কর
 -Every thing possible Dear. সব সম্ভবশুধু কামনাটাকে চাগিয়ে রাখতে হবে
 -না তুমি দেখছি একটুও পাল্টাও নিওফ যা সেক্স তোমার?
 -সেক্স? হা হা হাঠিক বলেছসেক্স কি শুধু মেয়েদেরই হবে না কি? ব্যাটাছেলেদেরও তো সমান তালে সেক্স চাইতবেই না খেলা জমবে
 -দেখি চেষ্টা করেতবে এখনই কোনো কথা দিচ্ছি না
 -তুমি চেষ্টাটাই করো দিবাকরতাহলেই হবেআমার তোমার ওপর অনেক ভরসা
 অলরেডি চার রাউন্ড হূইস্কি মারা হয়ে গেছেদিবাকরের এবার একটু রিমঝিম নেশা হচ্ছিলরজতকে বিদায় জানিয়ে দিবাকর বাড়ীর পথে পা বাড়ালোতখন বাজে রাত্রি দুটো

রজত ঘুমিয়ে পড়েছেকাল সকাল বেলায় আবার উঠে ট্রেন ধরতে হবেও যা যা দিবাকরকে বলেছে তা কি অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাবে? না কি প্রাপ্তিযোগ তার থেকেও বেশী হবে? রজত নিজেও জানে নাআর এরপরে ওর জীবনে যা ঘটবে তাতে হয়তো চমকে উঠবে সবাইহতবাক হয়ে যাবে দুনিয়াটাআর মাত্র রাত্রিটারই অপেক্ষা






No comments:

Post a Comment