Saturday, 16 February 2013

জামাল চাচা আর মা

 

 আমরা দেশের একটা জেলাশহরে থাকতাম। বাবা একটা ইনস্যুরেন্স কোম্পানীতে বেশ উচুপদে চাকরি করত। আর মা কলেজের লেকচারার। আমরা ৩ ভাই-বোন ছিলাম। বড়বোন, আমি মেঝ আর আমাদের ছোট ভাই। বড় বোন ইনটারমিডিয়েট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ্যডমিশনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছল। ঐ সময় গরমের ছুটি দিল আমাদের স্কুলে। মা আমাকে আর ছোটভাইকে নিয়ে দাদা বাড়ী বেড়াতে গেল। বাড়ীতে থাকল বাবা, বড়বোন আর ছোটমামা। বাবা বলল, দু‘সপ্তাহ পর এসে নিয়ে যাবে আমাদের।

আমার দাদারা বেশ গেরস্ত পরিবার। অনেক জমিজমা ছিল। বাবারা দু‘ভাই, দু‘বোন ছিল। বাবার বোনরা তাদের শ্বশুরবাড়ি, আর বাবার ছোটভাই দুবাই থাকত, অবশ্য আমাদের ছোটচাচি এক সন্তান নিয়ে দাদা বাড়ী থাকত। দাদা-দাদীর ওনেক বয়স হয়েছিল, তবুও দাদা বেশ কাজকাম করত। জমিজমা চাষবাস আর গরুছাগল দেখার জন্য একটা কাজের লোক থাকত দাদার বাড়ীতে। কাজের লোকটার নাম জামাল, আমরা জামাল চাচা বলে ডাকতাম। ওর বাড়ী ছিল অন্য কোন জেলায়, ঠিক জানতাম না। খুব বেশিদিন হয়নি এসেছে দাদার বাড়ীতে। আগে একটা কাজের ছেলে ছিল, চলে গিয়েছে বিয়ে করে। জামাল চাচা মাঝবয়সী গোছের লোক, শরীরগতরে বেশ তাগড়া ধরনের। খুব একটা হাসিখুশী ধরনের ছিল না। একটূ লজ্জাশিরে যাকে বলে সেই রকম। গায়ের রঙ একটু কালো ধরনের। প্রায় সবসময় একটা লুঙি আর গেন্জি পরে থাকত। দাদাদের বাড়ীতে মাটির তৈরি দুটো বড়ঘর, একটা রান্নাঘর আর একটা গোয়ালঘর ছিল। সারা বাড়ী মাটির পাচিল দিয়ে ঘেরা ছিল। একটা ঘরে দাদা-দাদী, চাচী আর অন্য ঘরে কাজের লোক জামাল চাচা থাকত।

আমরা সেদিন সনধাবেলা দাদাবাড়ী যেয়ে পৌছুলাম। রাতে বেশ হৈচৈ হল ছোটচাচার মেয়ের সাথে। রাতে খাওয়া দাওয়া করে শুতে গেলাম। গ্রামের বাড়ীতে কারেন্ট নেই তাই একটু রাত হলেই মনে হয় অনেক রাত। আমাদের বরাবরের মত শুতে দিল যেঘরে জামাল চাচা থাকত। ঘরের ভেতরে খাটের ওপর আমি, ছোটভাই আর মা থাকব, আর জামাল চাচা বারান্দায় বিছানা করে থাকবে। জামাল চাচা গোয়ালঘরে গরুগুলোকে খাওয়া দিয়ে ঘরে আসলো, তখন মা জামাল চাচার বিছানা করে দিচ্ছিল। বেশ গরম লাগছিল রাতে, তাই আমরা জামাল চাচার বিছানার পাশে বসে নানা রকম কথা বলছিলাম। জামাল চাচা বারান্দায় এসে একটু দুরে হারিকেন নিয়ে বসে কিছু একটা করার আয়োজন করছিল। দেখলাম হাতে একটা ঝিনুক, একটা সরষে তেলের বোতল আর একটা লাল শুকনো মরিচ। আমরা কিছু বুঝলাম না। মা বলল- জামাল কি করবে ওটা দিয়ে?
জামাল চাচা- আমার পা কেটে গেছে একটু, তেল-মরিচ গরম করে দেব।
আমি বললাম, ওটা দিলে কি হয়?
জামাল চাচা বলল- ব্যাথা সেরে যায়। আমরা আগে দেখিনি এরকম কিছু, তাই আমি মা দুজনেই মন দিয়ে দেখতে লাগলাম। দেখলাম জামাল চাচা দুহাটু উচু করে বসে ঝিনুকে একটু তেল আর শুকনো মরিচটা দিয়ে হারিকেনের মাথায় রাখল গরম হবার জন্য। একটু গরম হলে একটা মুরগীর পাখনা দিয়ে একটু একটু তেল নিয়ে পায়ের পাতার নিচে যেখানে কেটে গেছে সেখানে লাগাচ্ছে। দু-তিন বার এভাবে লাগাতে লাগাতে একসময় জামাল চাচার পরনের লুঙি দু‘হাটুর মাঝখান থেকে বেশ সরে গেল, কিন্তু জামাল চাচা খেয়াল করিনি। হারিকেনের সামনে হবার কারনে জামাল চাচার পুরুষাংগ দেখা যাচ্ছে পরিস্কারভাবে। বেশ লম্বা মোটা একটা শোলমাছের মত। পুরুষাঙগের গোড়ায় বেশ কালো লম্বা ঘন বাল। চাচার নড়াচড়ার কারনে পুরুষাঙগটাও নড়ছে টুকটুক করে। আমি আগে কোন পুরুষের ওটা দেখিনি, আমার খুব লজ্জা লাগছিল। আমি মার একটু পেছন বরাবর বসে ছিলাম, তাই একটু আড়চোখে মার দিকে তাকালাম। দেখলাম মা জামাল চাচার সাথে কথা বলার ভান করে ওর পুরুষাঙগের দিকে একমনে তাকিয়ে আছে। মা হয়ত ভাবছিল আমি ওটা দেখতে পাইনি। মার চোখমুখ কেমন যেন ঝলকে উঠেছে। দেখলাম একবার ঢোক গিলল ঐটার দিকে তাকিয়ে। মা চোখ সরালো না একদম, বেশকিছু সময় ধরে ওটা দেখা গেল পরিস্কারভাবে।

তখন বৈশাখ মাস ছিল। একটুপর বেশ ঝড় উঠে ঝমঝম করে বরষা নামল। হারিকেন নিভে গেল বাতাসে। বাইরে থেকে বরষার ঝাপটা যাতে না আসে তাই চারপাশে পাটখড়ি দিয়ে তৈরী ঝাপ নামিয়ে দিল। তখন একদম দেয়াল ঘেরা মত হয়ে গেল। বাইরে থেকে দেখা যায়না বারান্দায় কেও আছে কিনা। জামাল চাচা বিছানার এক কোনায় এসে বসল। আমরা বসে কথা বলছিলাম। মা জানতে চাইল জামাল চাচা এখানে কতদিন ধরে আছে, দেশের বাড়ী কোথায়, বাড়ীতে কয় ছেলেমেয়ে ইত্যাদি।

কথা বলতে বলতে আমার ঘুম এসে গেল। মা আমাকে বলল, যা ঘরে গিয়ে শুগে। আমি ঘরে গেলাম। মা ওখানে বসে জামাল চাচার সাথে কথা বলছিল। আমি খাটে শুলাম, ছোটভাই অঘোরে ঘুমিয়ে আছে। জামাল চাচার বিছানা পাতা হয়েছে আমাদের খাট বরাবর ওপাশে বারান্দায়। জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে হালকা যখন মাঝে মাঝে বিদ্যুত চমকাচ্ছে। আমার চোখ বুজে আসছিল, তখন মা এল ঘরে। জানালার দুটোপাট বন্দ করে দিল, কিন্তু লাগল না ভালমত। মা দরজা লাগিয়ে আমার পাশে শুয়ে পড়ল। আমাকে একবার ডেকে বলল, মিলি ঘুমিয়ে পড়িছিস? বাইরে তখনো বরষা হচ্ছে। আমি ঘুমঘোর চোখে শুধু হু বলে উত্তর দিলাম। মা যেন কি বলল ভালো করে শুনতে পেলাম না। এরপর কখন ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না।

 

BAKITUKU EKHANE DEKHUN

No comments:

Post a Comment